রোববার দিনভর ভ্যাপসা গরম আর প্রচন্ড রোদ ছিলো সিলেটে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং। ফলে প্রাণ ছিলো ওষ্ঠাগত।
বাইরে রোদ আর ঘরে বিদ্যুৎ নেই- এই অস্বস্থিকর পরিস্থিতি থেকে অবশেষে সিলেটবাসীকে মুক্তি দিয়েছে প্রকৃতি। রাতে নেমেছে বৃষ্টি।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত পৌনে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি চলছিলো। বৃষ্টির সাথে বাতাসও বইছে। ফলে কিছুটা শীতল হয়েছে প্রকৃতি। এতে নগরজীবনে কিছুটা স্বস্থি ফিরেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটে রাতে আরো বৃষ্টি হতে পারে। ফলে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, রোববার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাত্রাতিরিক্ত গরমে রেললাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে পড়ে। এতে শমশেরনগর-মনু রেল স্টেশনের মাঝখানে রেলগেট এলাকায় সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ২০ মিনিট আটকা পড়ে।
শেয়ার করুন