সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং ‘একতরফা’ তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশজুড়ে দুই দিনের অবরোধ পালন করছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী অবরোধ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পালন করবে তারা।
গত সোমবার বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
তবে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অববোধে সিলেটে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো সকাল থেকেই সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলও চোখে পড়ার মতো। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকেও কয়েকটি দূরপাল্লার বাস নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
একইসঙ্গে অবরোধ কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি নগরীর জীবনযাত্রায়। সকালে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতেও বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। নগরীর বিপনীবিতানগুলোও যথারীতি খুলতে দেখা গেছে।
এদিকে অবরোধের সমর্থনে বুধবার সকালে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনারের নেতৃত্বে নগরীর মিরাবাজারে মিছিল করেছে ছাত্রদলের ৮ থেকে দশজন নেতাকর্মী। তারা মিরাবাজার পয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু করে দাদাপিরের মাজারে গিয়ে মিছিল শেষ করে।
অপরদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে কেউ কোন নাশকতা ঘটাতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে নগরী ও তার আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর তৎপরতাও রয়েছে।
এর আগে বিএনপিসহ সরকারবিরোধীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শেষ হয় গত সোমবার।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এর পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ শীর্ষ অনেক নেতাকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর ৩১ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর তা বাতিল চেয়ে রোববার থেকে দুই দিনের অবরোধ পালন করে।
শেয়ার করুন