স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ (২৮আগস্ট) রবিবার বিকাল ৪ টার কিছু সময় পর যশোর দড়টানা ভৈরব চত্বরে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের উপর।
কিন্তু হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার ব্যবহৃত সাদা রঙের মাইক্রোবাস ভাংচুর করে এবং তার ঘোপ পিলু খান সড়কস্থ বাস ভবনে পুনরায় হামলা করে। এ সময় গণ মাধ্যম কর্মীদের মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়েও ব্যাপক ভাংচুর চালায়। শতাধিক সন্ত্রাসী এ মিশনে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য আজ বেলা ৪টার পর অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মুজিব সড়ক দিয়ে তার বাস ভবনে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পৌঁছানো মাত্র সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে এবং সন্ত্রাসীরা তাকে গাড়ির ভেতর থেকে নামানোর চেষ্টা চালায়।
প্রকাশ্যে একদল সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রও অস্ত্র উচিয়ে গুলি করতে উদ্যোত হয়। হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা জিআই পাইপ, ক্রিকেট স্ট্যাম্প,লোহার রড দিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভেঙে দেয়। বাসার সামনে অদূরে রাখা হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা প্রাইভেট চালক আব্দুর রউফের ভাড়াই চালিত প্রাইভেটটিও ভেঙে দেয়। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফেরা মাত্রই সন্ত্রাসীর তার বাস ভবনে গিয়ে হামলা করে। হামলার সময় পেছনে পুলিশে বিশাল একটি গাড়ি বহর ছিল। তার বাস ভবনের চর্তুদিক থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। তার বাস ভবনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে।
সন্ত্রাসীরা প্রথমে তার বাস ভবনের ডান দিক থেকে আক্রমণ করে।বাস ভবনের সামনে রাখা গণ মাধ্যম কর্মীদের দুটি মোটর সাইকেল ও বিএনপির দলীয় নেতা কর্মীদের রাখা আরও তিনটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
পরে সন্ত্রাসীরা লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে কার্যালয়ের আশপাশের ব্যবসায়ীসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা আসবাব পত্র,বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য,মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছবি ভাঙচুর করে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার থেকে দফায় দফায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে হামলাসহ,মামলা দিয়ে বিএনপির চলমান কর্মসূচির গতি রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপির কর্মীদের দ্বারা আওয়ামী লীগ সমার্থিত চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাংচুর করায় উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলনেসহ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করায় যশোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে কালোমেঘ যেমন বিরাজ করছে তেমনি যশোর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।