শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি এই স্ট্যাটাসটি দেন।
পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
মির্জা গালিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতায় যাবার মত দল হয়ে উঠার ক্ষেত্রে জামায়াতের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। জামায়াত এখনো পুরোপুরি জনসম্পৃক্ত দল হয়ে উঠতে পারে নাই। ক্যাডার ভিত্তিক দল হবার কারণে অন্যান্য বড় দলগুলোর তুলনায় জামায়াতে প্রফেশনাল লোকদের পার্টিসিপেশান কম। এর বাইরে একাত্তর একটা বড় ইস্যু।
কিন্তু জামায়াতের দুইটা বড় শক্তিশালী দিক আছে।
দুই, জামায়াতের একটা নিজস্ব অর্থ ব্যবস্থা আছে। দলের কর্মীরা নিয়মিত দলকে মাসিক চাঁদা দেয়। সেইখান থেকে দলের সকল খরচ চলে। দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচও। এইটা একটা অসাধারণ মডেল। রাজনীতি করতে গেলে টাকার প্রয়োজন। সাধারণ দলগুলোতে যেহেতু নিজের পকেটের পয়সায় রাজনীতি করতে হয়, স্বভাবতই সেই টাকা আরেক জায়গা থেকে উসুল করতে হয়। ফলে, গতানুগতিক রাজনৈতিক মডেলের মধ্যে থেকে দুর্নীতি মুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। জামায়াতের মডেল ভিন্ন বলে এইখানে দুর্নীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের এই দুই অসাধারণ সুবিধার সাইড ইফেক্ট হইল, কিছুটা কম জনসম্পৃক্ত নেতৃত্ব। জামায়াত যদি জনগণকে বুঝাইতে পারে যে, তাদের নেতাদের একটু কম চিনলেও এদের দ্বারাই সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে, তাইলে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচনে আরো ভাল করা সম্ভব। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পরের এই পরিস্থিতিতে।