
হজ হতে ফিরে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হক। তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে হজের ফিরতি ফ্লাইটে সিলেট পৌঁছার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরে দুপুরে তাকে বিমানবন্দর সংলগ্ন এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
কামরুল হকের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে। তিনি পেশায় একজন ট্রাভেলস ব্যবসায়ী। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেলস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি ঢাকার প্রখ্যাত ট্রাভেল ব্যবসায়ী মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা এবং সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খসরুল হকের ছোট ভাই।
ঘটনাটি স্থানীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কামরুল হকের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মহল এবং আত্মীয়স্বজন তার আটকের কারণ জানতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, কামরুল হক কে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে এ থানায় সোপর্দ করে। পরে বিয়ানীবাজার থানায় জুলাই আন্দোলনে একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হওয়ায় ওই থানার ওসি তদন্ত এসে নিয়ে গেছেন।
শেয়ার করুন