সিলেটের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০নং ওয়ার্ড গোয়াইনঘাটে চলছে প্রার্থীদের প্রচার, প্রচারণা। ১০নং ওয়ার্ডের সদস্য হতে ইতোপূর্বে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রচারণায় আছেন প্রার্থীরা।
গোয়াইনঘাটে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে আসন্ন ১৭ই অক্টোবর নির্বাচিত হবেন উক্ত ওয়ার্ডের সদস্য। গোয়াইনঘাটের সাবেক ২নং পশ্চিম জাফলং ইউ/পি, সাবেক ৩নং পূর্ব জাফলং ইউপি, ৪নং লেঙ্গুঁড়া ইউপি, ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউ/পি, ৬নং ফতেপুর ইউ/পি, ৯নং ডৌবাড়ী ইউ/পি এবং ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ৯৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গোয়াইনঘাটে ৫ প্রার্থী ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা যুবলীগ সদস্য, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সুবাস দাস হাতি প্রতীক নিয়ে, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ ইনসাদ হোসেন রাজিব টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে, ব্যবসায়ী আলীম উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে, ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল জলিল বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীক নিয়ে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আলম আবুল তালা প্রতীক নিয়ে ভোটারদের সাথে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই নির্বাচনে ভোটাররা সবাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। ভোটারদের সাথে আলাপ করে যা জানা যায় যে, আসন্ন নির্বাচনে গোয়াইনঘাটের প্রার্থী তালিকায় যারা আছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থীর নাম সুবাস দাস। তাদের মতে সুবাস দাসের হাতি প্রতীকই শেষ হাসি হাঁসতে পারে। ৪নং লেঙ্গুঁড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য হবিবুর রহমান হবি ও ৯নং ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য তৈয়বুর রহমান জানান, আমি একজন যোগ্য প্রার্থী হিসাবে সুবাস দাসকে আমার মূল্যবান রায় প্রদান করব।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে একাধিক ইউপি সদস্য নিজেদের প্রার্থী পছন্দের তালিকায় রেখেছেন সুবাস দাসকে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছিুক একজন ইউ/পি সদস্য জানান সুবাসের সাথে আলোচনায় আছেন ব্যবসায়ী আলীম উদ্দিন ও ছাত্রনেতা ইনসাদ হোসেন রাজিবও। তবে ঐ ইউ/পি সদস্য এটাও বলেন ভোট হলো সবচেয়ে বড় ডিগবাজির জায়গা।
গোপন ঘরে কে কাকে বিজয়ী করবে গননার আগ পর্যন্ত বলা মুশকিল। এদিকে সিলেট জেলা পরিষদের আসন্ন ১৭ অক্টোবরের নির্বাচন ঘিরে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা।
আওয়ামীলীগ বিএনপির মত রাজনৈতিক দল সমূহের প্রথম সারির নেতারা কৌশলে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত গোয়াইনঘাট জুড়ে ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রচারণায় সুবাস দাসই এগিয়ে রয়েছেন। ইতিপূর্বে তাকে সমর্থন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন একাধিক প্রার্থী। উপজেলার সবকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, হাট- বাজার জুড়েই জেলা পরিষদের আলোচিত সদস্য পদপ্রার্থীদের ব্যানার ফেস্টুন শুভা পাচ্ছে।
শেয়ার করুন