ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিশ্বনাথে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পৌর শহরের বাসিয়া সেতুর উপর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়েছে। এরপূর্বে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
‘সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গিসহ সারাদেশে অব্যহত সাম্প্রদায়িক হামলা-হুমকি, দেব-দেবী’র বিগ্রহ ভাংচুর ও ধর্ম অবমাননা এবং পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ায় মতুয়া সম্মেলনে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিশ্বনাথে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর দাস শংকু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সহ সভাপতি রুপক কুমার দেব, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর দে ঝুলন, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, উপজেলা জন্মাষ্ঠমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল কুমার দেব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কানু রঞ্জন দেব, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা রিপন দাশ, নিশি কান্ত পাল, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে লামাকাজীর সভাপতি রজন কান্তি দত্ত, খাজাঞ্চীর সভাপতি দেবব্রত চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সজীব দে রাকু, রামপাশার সভাপতি ক্ষিতিশ রঞ্জন দাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রঞ্জন ধর, দৌলতপুরের সাধারণ সম্পাদক বিভাংশু গুন বিভু, বিশ্বনাথের সাধারণ সম্পাদক ঝুটন চৌধুরী, দেওকলসের সভাপতি মতি লাল দাশ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত বৈদ্য, দশঘরের সাধারণ সম্পাদক নন্দ লাল বৈদ্য, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিদ্যাভূষণ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দাশ রঞ্জু, অলংকারী ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজিত সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজয় দেব, সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র ধর মিশু, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমিত দেব।
সভায় বক্তারা বলেন, বিগত সময়ে দেশে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর এবং দেব-দেবী’র বিগ্রহ ভাংচুর করা হয়ে ছিল, সেগুলোর সঠিক বিচার হলে বর্তমান সময় পর্যন্ত ওই হামলা-ভাংচুরের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকত না। আর সংখ্যালঘুরাও নিরাপত্তার সাথে দেশে বসবাসের পাশাপাশি নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারতেন সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে শতভাগ নিরাপত্তা প্রদান করতে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার সঠিত প্রদক্ষেপ গ্রহন করার উদ্যোগ নিতে মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা প্রবীর কুমার পাল নিলু, কাজল মালাকার, বকুল চন্দ্র দাস, অজিত দেব, সুমন দেব, শশাংক পাল, রন চন্দ, সজল কুমার পাল, নীল কান্ত রুদ্র পাল, কটু মালাকার, ভক্ত দাশ, রিপন চন্দ্র সাহা, বকুল দেবনাথ, সুজিত দেব, বিপ্লব দেব, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি বিজয় চন্দ্র দে, যুবনেতা শাওন দাস, মিল্টন দাশ, সহদেব মালাকার, সঞ্জয় চন্দ, বিধান বৈদ্য, জয় নন্দী, সবুজ দেব, জয় দাস, জীবন পাল, পংকজ দে, অনিক কর্মকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেন্দ্র কুমার দাশ রাজীব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।