সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আর পদে না থাকায় তাদের লাল পাসপোর্ট বাতিল করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মো. আলী রেজা সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিপ্লোম্যাটিক (কূটনৈতিক) পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্যতা যাদের আছে, তারা এখন যদি সেই পদে না থাকেন, বিলুপ্ত হওয়া মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, বিলুপ্ত সংসদের এমপি, প্রধানমন্ত্রীর যে উপদেষ্টারা ছিলেন যারা এখন নেই তাদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হবে। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক অনেকে ছিলেন যারা সচিব পদমর্যাদার এবং এমন মর্যাদায় যেখানে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টের প্রাপ্যতা আছে, তাদের চুক্তি বাতিল হয়েছে। এছাড়া অনেক সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া হয়েছে। কেমন ক্যাটাগরির যারা ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট নিয়েছেন এবং বর্তমানে ওই পদ ধারণ করেন না, সেই কূটনৈতিক পাসপোর্টগুলো বাতিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, এগুলো আমাদের সিস্টেম থেকে মুছে ফেলতে হবে। যদি কেউ সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করে তবে তো হলোই। যদি কেউ সারেন্ডার না করে সেজন্য আমরা এটা করছি। যাতে কেউ সারেন্ডার না করলেও তার পাসপোর্ট অ্যাকটিভ না থাকে। এটাকে সিস্টেম থেকে বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘বাতিলের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পাসপোর্টের ডিজিকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আমরা হয়তো অফিসিয়ালি কাল (বৃহস্পতিবার) জানিয়ে দিতে পারবো।’
আলী রেজা সিদ্দিকী আরও বলেন, কিছু কিছু ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ইস্যু করা হয়। আমরা যতটুকু জেনেছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সেই উদ্যোগটা (বাতিলের) নিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়। কোনো কোনো কর্মকর্তাকে পাঠানো হয় বাধ্যতামূলক অবসরে।