বিশেষ এক বাহিনী নির্বাচনকে প্রভাবিত করে স্বাধীনতা বিরোধী এক প্রার্থীতে জিতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে অভিযোগ করে সিলেট-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়া না হলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ বাহিনী আমার দু’টি উপজেলার নেতাকর্মী ও ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে একজন বিশেষ প্রার্থীকে পাশ করানোর উদ্দেশ্যে নীল নকশা প্রসঙ্গে।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ করেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কপি প্রদান করেছেন।
লিখিত অভিযোগে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠার পর লক্ষ্য করলাম একজন মৌলবাদী স্বাধীনতা বিরোধীর ছেলে মৌলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী কেতলি মার্কার প্রতিনিধিকে গায়েবি ভোটে পাশ করানোর উদ্দেশ্যে এ পর্যন্ত দু’টি উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সংখ্যালঘু নেতা, দলীয় নেতাকর্মী অন্তত ১০০ জনকে বিভিন্নভাবে ডেকে নিয়ে সিলেট শহরের সাগরদিঘির পাড়স্থ অফিসে যেতে বাধ্য করে।’
সেখানে নিয়ে সরাসরি বলেন, ‘সরকারের উপরের মহলের নির্দেশ, মৌলানা হুছাম উদ্দিনের কেতলি প্রতীকে ভোট দিতে হবে এবং কেটলির পক্ষে কাজ করতে হবে নতুবা রক্ষা নেই। এর পর থেকে এই বাহিনীর অত্যাচারের ভয়ে আমার শত শত সংখ্যালঘু ভোটার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সর্ব শেষ গত ১লা জানুয়ারির ১৩জন সংখ্যালঘু নেতাকে চুরি, ডাকাতির আসামীর মত ব্যবহার করে বলেন, ‘উপরের গ্রীণ সিগনাল কেটলির পক্ষে’।
গত ২৫ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে কানাইঘাট উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা সিলেট জজকোর্টের এপিপি এডভোকেট আব্দুস ছাত্তারকে ঐ বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গির আলম পরিচয়ে ০১৩০৫৩৪৯৩৬ নম্বর থেকে ০১৭১৫১৪১৮৬৫ নম্বরে যোগাযোগ করে একইভাবে হুমকি ধমকি দেয়। আমি আমার সংগঠনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে জানতে পারি কথিত গ্রীণ সিগনালটি সঠিক নয়। নৌকার পক্ষে এলাকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। এ বাহিনীর ভয়ে স্থানীয় নেতারা নিষ্ক্রিয় হলেও ভোটাররা আমার পক্ষে রয়েছে। সঠিক নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে প্রকৃত ফলাফল আলোর মূখ দেখলে নৌকা ডুবানোর সাধ্য কারো নেই।’
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার জকিগঞ্জ উপজেলার প্রিসাইডিং অফিসারের তালিকা তৃতীয়বারের মতো রহস্যজনক রদবদল করতে বাধ্য হন সহকারী রিটার্নিং অফিসার। একই দিন রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর মোহাম্মদ রায়হান ফেসবুক লাইভে এসে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে আমার দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সিলেটে এসে জনসভায় দেশবাসীর কাছে নৌকা প্রতিকে ভোট চাইলেন। আমার নির্বাচনী এলাকায় এই বাহিনী নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে কেন অবস্থান নিচ্ছে? এভাবে যদি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিয়ে আমাদে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়, আমি বুঝে নেব, এটা আমার মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ।’
এ বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সার্থে জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন বলে জানান।
শেয়ার করুন