গাজাকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণার পর নতুন আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল ওয়াদি গাজা থেকে ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যাওয়ার কথা বলছে তারা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) এ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ওয়াদি গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। এটি গাজা শহর, জাবালিয়া শরণার্থী কেন্দ্র, বাইত লাহিয়া ও বাইত আল-হনুন এলাকা নিয়ে গঠিত।
কয়েকদিনের বোমা হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যার পরে ইসরায়েল স্থল অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, ইসরায়েল যে দাবি করেছে তাতে ওই অঞ্চলের অন্তত ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেছেন, “এ ধরনের স্থানান্তরকে জাতিসংঘ অসম্ভব বলে বিবেচনা করছে এবং এতে কেবল ভয়াবহ বিধ্বংসী মানবিক বিপর্যয়ই ঘটবে। এ ধরনে আদেশ কেবল এরই মধ্যে তৈরি হয়ে থাকা একটি বিয়োগান্ত ঘটনাকে স্রেফ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত করবে।”
জাতিসংঘের এ মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের এই আল্টিমেটাম জাতিসংঘের সব কর্মকর্তা-কর্মীর জন্য প্রযোজ্য এমনকি যারা জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিভিন্ন ক্লিনিকসহ বিভিন্ন অবস্থানে যারা আশ্রয় দিয়েছেন তাদের জন্যও প্রযোজ্য। ইসরায়েল এমনটাই জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইসরায়েলের চরম নৃশংসতার শিকার গাজার বাসিন্দারা। দখলদার বাহিনীর হাত থেকে থেকে ছাড় পাচ্ছে না শিশু ও নারীরাও। গত পাঁচ দিনের অব্যাহত হামলায় দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের মধ্যে পাঁচ শতাধিক শিশু রয়েছে। প্রায় ২৫০ নারী অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ইসরায়েলের হামলা থামছে না।
দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হয়েছে। হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হচ্ছে।
শেয়ার করুন