আগ্নেয়াস্ত্রের ‘ভারতীয় গুলি’র চালান কে নিয়ে আসলো সিলেটে?

সিলেট

সিলেটে যাত্রাবাহী বাসে মিললো আগ্নেয়াস্ত্রের ‘ভারতীয় গুলি’র চালান। বাসভর্তি লোকজন ও বিশেষভাবে ৭ জনকে করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু গুলির চালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয় সবাইকে।

‘মালিকহীন’ এসব গুলি রয়েছে পুলিশের জিম্মায়। তবে এ গুলির চালান কে বা কারা সিলেটে নিয়ে আসছিলো সেটি খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে সিলেট শহরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তল্লাশি চালিয়ে শটগানের ১০৫টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুলিগুলো বাসের নিচ দিকে মালামাল রাখার জায়গায় একটি থলের মধ্যে আলাদা দুটি বক্সে রাখা ছিল। সিলেট-তামাবিল সড়কের বটেশ্বর এলাকায় ওই বাস থেকে গুলিগুলো জব্দ করা হয়। গুলিগুলোর মোড়কে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বটেশ্বর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস (সিলেট-ব ১১-০১৪১) থামিয়ে তল্লাশি চালায় শাহপরান থানার পুলিশ। এ সময় বাসের নিচ দিকে মালামাল রাখার জায়গায় একটি ব্যাগের ভেতর থেকে দুটি বাক্সে থাকা শটগানের ১০৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

প্রথমে ঘটনাস্থলেই বাসের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক, সহকারী ও যাত্রীসহ সাতজনকে শাহপরাণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।  তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাথমিকভাবে গুলির চালানের সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় নাম-ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নাম্বার রেখে রাত ১০টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি বলেন- গুলিগুলোর মোড়কে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা আছে। এসব গুলি শটগানে ব্যবহার করা হয়। তবে মালিককে পাওয়া যায়নি। মালিককে চিহ্নিত করতে তদন্তের পাশাপাশি অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুলির চালানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের নাম-ঠিকানা ও ফোন নাম্বার রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে তাদের ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।

ওসি আনিসুর রহমান আরও বলেন- গুলিগুলো কে বা কারা সিলেটে নিয়ে এসেছে, কেন আনা হয়েছে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো- এসব বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *