চোরাচালানে চাঁদা পেলে দাঁড়িয়ে প্রটোকল দেন বিজিবি সদস্য

সিলেট

 

স্টাফ রিপোর্ট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর ও হাজিপুরের বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০টিরও বেশি চোরাই পথে আসছে ভারতীয় চোরাচালান মাদক, চিনি, শাড়ি-ত্রীপিছ ইত্যাদি আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য। যা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ বিজিবিকে। কিন্তু অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী হাজীপুর ও প্রতাপপুর ক্যাম্পের দায়িত্বশীলদের অবৈধ টাকার গন্ধে দায়িত্বশীলতা পড়ে আছে হিমাগারে।
সীমান্তের প্রতাপপুর বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা একজন ভিআইপি যাকে স্পেশাল ফোর্স হিসেবে সীমান্তের চোরাচালান ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে রাখেন বিজিবি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে এই বিজিবি সদস্যের অপকর্মের সত্যতা পাওয়া যায়। তিনি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজে সরেজমিন দাঁড়িয়ে চোরাচালান আমদানির ডিসিপ্লিন নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তার এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংবাদকর্মী কিংবা কোন ব্যবসায়ী মুখ খুলতে চাইলে তাঁদেরকে হত্যা কিংবা মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও প্রদান করেন সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী ভিআইপি মো. শফি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, বিজিবির কথিত লাইনম্যান দুলালের সহযোগিতা যোগসাজশে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় অংকের চাঁদা আদায় করে দীর্ঘদিন থেকে চোরাকারবারীদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন এই বিজিবি সদস্য।

এ বিষয়ে সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী ভিআইপি মো.শফির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের প্রশ্ন এড়িয়ে নেটওয়ার্ক প্রবলেমের কথা বলে ফোন কেটে দেন।

দায়িত্বে থাকা নায়েক সুবেদারের সাথে কথা বলতে তার সরকারি ব্যবহৃত নম্বরে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি বিধায় তার বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি। তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শতাধিক সত্যতা সংগৃহীত রয়েছে এ প্রতিবেদকের নিকট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *