“প্রতারকদের প্রতারণার ফাঁদে অর্ধ-শতাধিক তরুণ তরুণী”

সিলেট

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি-:

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের কালাইরাগ গ্রামের জৈন উদ্দিন মিয়ার পুত্র মিছবাহ( ২৩), কালাইরাগ গ্রামের কবিন্ড বিশ্বাসের পুত্র লিপসন (২৩),কালাইরাগ গ্রামের (মুড়াবস্তি এলাকার পান্ডবের পুত্র রিজো কান্ত জনি (২১) তাদের কৌশলী প্রতারণার ফাঁদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভিবিন্ন গ্রামের তরুণ -তরুণীরা।

খবর নিয়ে জানা যায়-মিছবাহ -লিপসন ও রিজো ত্রয়ী চক্র স্যান্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় তরুণ গরীব অসহায় ছেলে মেয়েদের টার্গেট করে থাকেন।লাভজনক চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে, কখনও অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়া, কখনও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়া আবার কখনও এজেন্ট নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন এলাকায় তাদের ভাড়াকৃত সুসজ্জিত অফিসে ডেকে নিয়ে আসে।পরে জামানত বা বিনিয়োগ বাবদ অমানবিক নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন।এভাবেই প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কৌশলে এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাদের পাতানো ফাঁদে ফেলে তরুণ ছেলে মেয়েদের নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত করে আসছে।

প্রতারক চক্রের প্রতারণার ফেঁসে যাওয়া শাতাল গ্রামের রিপন দেব জানান -পোশাক-আশাক বা কথাবার্তায় তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে -সে আসলে একজন প্রতারক।কালাইরাগ গ্রামের” লিপসন”আমাকে কাজ দেবে বলে একদিন তার অফিসে ডাকে।আমি যথাযথ বিশ্বাস করে তার অফিসে যাই। সেখানে আমাকে অমানবিক নির্যাতন করে আমার পরিবারের কাছে মুক্তিপণবাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে, আমি কাকুতিমিনতি করে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পাই। তার মূল কাজ প্রতারণা। যাতে সর্বশান্ত হয়েছে বহু মানুষ। প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে তাদের স্যান্ডিকেট।

জীবনপুর গ্রামের লিংকন ও কাজল দুইজন বলেন-চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মিছবাহ ও রিজো আমাদেরকে মুটোফোনে কল দেয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ কথা বলার পর তারা আমাদেরকে ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন কপি, একাডেমিক সনদ সব কিছু সত্যায়িত করে নিয়ে যেতে বলেন। আমরা তাদের কথামত-গাজীপুর বাঘের বাজার পুষ্পাদম রিসোর্টের পাশে তাদের ভাসমান ইন্সুইরেন্স কোম্পানীতে যাই -সেখানে যাওয়ার পর তারা আমাদের ভাইভা নেন। খানিক্ষন পরে আরো কয়েকজন এসে একটি রুমে আমাদেরকে তালাবদ্ধ করে রেখে নির্যাতন করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে আমরা আমাদের পরিবারকে জানাই, তারা ৫০ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।আমরা সেগুলো দিয়ে তারপর কোনরকম প্রাণে বেঁচে আসি।

ভুক্তভোগী বাপ্পীমন্ডল বলেন-আমি এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থান করেছি, কাজ পাবো সেই আশায়। এক সপ্তাহে আমি লক্ষ্য করলাম তাদের অফিসের সাইনবোর্ড তারা সপ্তাহে তিন বার পরিবর্তন করছে, আমি পরিবর্তনের কথা জিঙ্গেস করতেই আমাকে নির্যাতন করে আমার কাছ থাকা মোবাইল,লেফটটপ, নগদ টাকা, সব আত্মসাৎ করে নিয়ে যায়। প্রথম দিন তাদের অফিসের নাম ছিল -সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি,তারপর স্বদেশ ইন্সুইরেন্স, বর্তমানে নাম বেস্ট লাইফ ইন্সুইরেন্স। এভাবেই তারা প্রতারণায় ব্যতিব্যস্ত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *