এবার বইমেলা পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত পুরনো জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে। জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলা একাডেমি। ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল।
৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করবেন।
স্টল নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। বইমেলা ঘিরে প্রস্তুত প্রকাশনীগুলোও। দিন-রাত কাজ করছেন তারা।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার শুধু মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সাতটি কোর কমিটি করেছি। এই কমিটি ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পুস্তক সমিতি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে বইমেলার একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। মেলায় প্রতি বছর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনেক অভিযোগ আসে, টাকার একটা অনিয়মের কথা শোনা যায়। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিল পাওয়া যায় না। তাই এবার আমরা নিজেরাই সব তদারকি করছি। ’
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কাছে মেট্রোরেল স্টেশনের ফটকের জন্য মেলার প্রবেশপথ ও বাইরে বেরোনোর পথ গতবারের চেয়ে কয়েক হাত দূরে হতে পারে।
গত বছরের বইমেলায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের দিকের প্রবেশপথটি সপ্তাহে দুই দিন খোলা থাকত। এবার তা মেলা চলাকালে পূর্ণ সময় খোলা থাকবে। এ ছাড়া এই বছর বইমেলার নীতিমালা নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন বইমেলার পর্যবেক্ষণ (পূর্বপ্রস্তুতি) কমিটি গঠন করা হয়েছে; করা হয়েছে বইমেলা শৃঙ্খলা কমিটি।