বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল তাঁর দর্শনকে হত্যার জন্য

রাজনীতি সিলেট

শোকের ও ষড়যন্ত্রের মাস আগস্ট উপলক্ষে সিলেটে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ‘সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন সিলেট মহানগর আওযামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

 

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- সম্প্রীতির শক্তিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো বলেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। পাকিস্তান বিভিন্নভাবে নিপীড়নের পাশাপাশি সাম্প্রদায়ীক আগ্রাসনও চালিয়েছিলো বাঙালিদের উপর। তাই একাত্তর সালে হিন্দু-মুসলিমসহ সকল জাত-ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু বিজয়ের পরও পাকিস্তানিদের দোষররা সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বার বার। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনও সম্প্রীতির বাংলাদেশ দেখতে চায় না। এরই প্রমাণ- পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের রাতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এরপরও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে উঠেপড়ে লেগে থাকা জঙ্গি-মৌলবাদী গোষ্ঠী থেমে থাকেনি। রমনায় বোমা হামলা, একুশে আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা, যশোরে বোমা হামলা, সিলেটের শাহজালাল মাজারে ও হোটেলে আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলাসহ বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী হামলা এবং কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে- এখনও পাকিস্তানের দোষররা আমাদের স্বাধীন বাংলায় বিচরণ করছে। আর এদের সব সময় লালন-পালন করছে বিএনপি-জামায়াত সরকার।

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে আজ আমরা উপহার পেয়েছি একটি অসাম্প্রদায়ীক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। পাকিস্তানি দোষর ও জঙ্গি-মৌলবাদী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রথিতযশা প্রবীণ নাট্যকার, সাহিত্যিক, রম্যরচনাকার বরেণ্য অধ্যাপক সুনির্মল কুমার দেব মীন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী,রেড টাইমস পত্রিকার সম্পাদক কবি সৌমিত্র দেব, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, উপদেষ্টা কানাই দত্ত, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা বেগম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন কয়েস, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, সহ-সভাপতি এম রশিদ আহমদ, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মওলানা শিহাব আহমদ,ইসকন ইয়ুথ ফোরামের সংগঠক দেবর্ষি শ্রীবাস দাস, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট কবি ধ্রুব গৌতম, কবি ও লেখক অপূর্ব শর্মা, শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকন, প্রভাষক লিয়াকত আলী, ব্যাংকার ফরহাদ আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়া, আব্দুস সালাম, জুয়েল আহমদ নুরুজ্জামান, লেখক আশীষ দে, মহানগর যুবলীগ নেতা সামন্ত ধর, সিরাজুল ইসলাম মিরাজুল, এস.ডি সুমেল, সাইদুল ইসলাম খান, নশু ভোমিক,মনিলাল সিংহ রাধে,মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম আহমদ, ইব্রাহিম আলম শাওন, রাহুল দে,নয়ন রায়, অসিম চন্দ্র পাল, টিঠু কাপালী,বিপ্রেশ সরকার, প্রনব রায়, বোরহান উদ্দিন ,মোঃ আলমিন, মইনুল ইসলাম,লব চন্দ্র দাস, শাহ জামান, মুনতাকিম, ইয়াস চৌধুরী, সানি, সালমান, জনি আহমদ, বাবলু ধর প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *