বড়লেখায় প্রেমিকের সহায়তায় তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, হবিগঞ্জ থেকে আরেক আসামি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে বন্ধুরা মিলে প্রেমিকাকে (২১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামির নাম রমিজ উদ্দিন (২৮)। রমিজ বড়লেখা উপজেলার পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের ফইয়াজ আলীর ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পুুলিশ পরিদর্শক) নব গোপাল দাশের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একদল পুলিশ গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এনিয়ে এই মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- মাহমুদুল হাসান (২০), আল আমিন (২৩) ও সেলিম উদ্দিন (৪০)।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া রমিজ উদ্দিন (২৮) বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার এজাহার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক নুরুল ইসলাম ওরফে ফাহিম বেড়ানোর কথা বলে ওই তরুণীকে অহিদাবাদ চা বাগানে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে গোপনে সে তার কয়েকজন বন্ধুকে সেখানে রেখে দেয়। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক সবাই মিলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লম্পটরা ধর্ষণের শিকার তরুণীকে তার বাড়ির পাশে ফেলে যায়। এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি মাহমুদুল হাসান (২০) ও আল আমিন (২৩) গ্রেপ্তার করে। এই দুজনের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে ধর্ষণের শিকার তরুণী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তার (তরুণী) জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পুুলিশ পরিদর্শক) নব গোপাল দাশের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একদল পুলিশ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সেলিম উদ্দিন (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আরেক আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামি রমিজ উদ্দিন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত অন্যদের নামও বলেছে। স্বীকারোক্তি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এ নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *