মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু

জাতীয়

বহুল প্রতীক্ষিত কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা সোয়া ১২টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়। মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সিকিউরিটি অফিসার আলফাজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা সোয়া ১২টার দিকে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে চুল্লি থেকে ধোঁয়া বের হয়। এভাবে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়। প্রথম দিনে তেল দিয়ে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবার কথা। কয়েক ঘণ্টা চালু রাখার পর চুল্লির কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা মিলবে। কোনো ঝামেলাহীন চুল্লি চলমান থাকলে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু থাকবে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ইতিমধ্যে দুই লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ রয়েছে বলে জানা যায়।

মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেগা প্রকল্পের অন্যতম মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প। এতে শনিবার পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরেকটি বড় সাফল্য। এটি পুরোদমে চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে বিদ্যুৎ খাতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। মহেশখালীসহ কক্সবাজারের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টাবে মাতারবাড়ি প্রকল্প।

উল্লেখ্য, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে এক হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকার মধ্যে চুক্তি হয়। প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ইতিমধ্যে আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে এ কেন্দ্রটি পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *