রুট-বেয়ারস্টোর জুটিতে ভারতকে হারালো ইংল্যান্ড

খেলাধুলা

রেকর্ড গড়ে পঞ্চম টেস্ট জিততে হতো ইংল্যান্ডকে। কারণ চতুর্থ ইনিংসে ৩৫৯ রানের বেশি লক্ষ্যে কখনও জেতেনি তারা। সেখানে ৩৭৮ রান বড্ড কঠিন। কিন্তু ফর্মের তুঙ্গে থাকা জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট ক্রিজে থেকে সেটা বানিয়ে ফেললেন সহজসাধ্য বিষয়। দুজনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ দিন এক সেশনেই রেকর্ড রান করে জিতে গেলো ইংল্যান্ড। ২-১ এ এগিয়ে থেকে এজবাস্টন টেস্ট খেলতে নামা ভারতকে সিরিজ জিততে দিলো না তারা। ৭ উইকেটে জিতে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ এ ড্র করলো স্বাগতিকরা।

৬৫তম ওভারে রুট সিঙ্গেল নিয়ে নব্বইয়ের ঘরে। একটু দেখেশুনে খেলবেন কী! পরের বল ডিফেন্ড করে টানা দুটি চার। ২৪৮ বলে বেয়ারস্টোর সঙ্গে তার জুটির ‘ডাবল সেঞ্চুরি’। তারপর সিঙ্গেল নিয়ে ৯৯-এ। পরের বল যখন খেললেন, সেকেন্ড স্লিপ দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি। উদযাপনটা ছিল সাদামাটা, কারণ সেঞ্চুরি তো সাধারণ ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।

১৩৬ বলে ১৪ চারে বছরের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন রুট, যা তার ক্যারিয়ারের ২৮তম। নেমেছিলেন ৭৬ রানে। অন্য প্রান্তে থাকা বেয়ারস্টো ৭২ রান নিয়ে দিন শুরু করেন, তিনি ছিলেন একটু সতর্ক। ১০৮ বলে নব্বই ছোঁয়া এই ব্যাটসম্যান আরও ৩০ বল খেলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান।

টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরির পর একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরিতে পৌঁছান বেয়ারস্টো সিঙ্গেল নিয়ে। তার ১৩৮ বলে পাওয়া সেঞ্চুরিতে ছিল ১২ চার ও ১ ছয়। ১৯৩৯ সালের পর প্রথমবার চতুর্থ ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিয়ানের দেখা পেলো ইংল্যান্ড।

সেঞ্চুরির পর আগ্রাসী বেয়ারস্টো মোহাম্মদ সিরাজকে টানা তিনটি চার মারেন। রবীন্দ্র জাদেজাকে চার মারার পর রুট সিঙ্গেল নিয়ে দলকে জেতান। ১৭৩ বলে ১৯ চার ও ১ ছয়ে ১৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর ১৫ চার ও ১ ছয়ে বেয়ারস্টোর রান ১১৪, ১৪৫ বল খেলেন তিনি।

৩ উইকেটে ২৫৯ রানে দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। জিততে আর ১১৯ রান দরকার ছিল। ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শুরু করেন রুট ও বেয়ারস্টো। তাদের অপ্রতিরোধ্য জুটি আর ভাঙেনি, অপরাজিত ছিলেন ২৬৯ রানের জুটিতে।

১০৬ ও অপরাজিত ১১৪ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বেয়ারস্টো। আর পাঁচ ম্যাচে ৭৩৭ রান ও ২ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় রুট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *