সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে জ্বালানি তেল গ্যাস গেল ত্রিপুরায়

সিলেট

স্টাফ রিপোর্টার:  শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১০ ট্যাংকারের মাঝে ৩ টিতে ছিল ২১ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন এলপিজি। বাকি সাতটিতে ছিল ৮৩ মেট্রিক টন তরল জ্বালানি। সব মিলিয়ে ১০৪ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন জ্বালানি রয়েছে ১০টি ট্যাংকারে। তামাবিল স্থল শুল্ক বন্দর থেকে জ্বালানি তেলের বহর সিলগালা করে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সুত্রে আরো জানা যায়,বৃহস্পতিবার(২৫ আগষ্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় মেঘালয়ের ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে ট্যাংকার গুলো সিলেটের তামাবিল বন্দরে আসে। সিলেটেরে তামাবিল স্থল শুল্ক বন্দরে ভারতীয় জ্বালানি তেলের ১০টি ট্যাংকার গ্রহণ করেন ইন্ডিয়ান অয়েল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মাজহার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুল্ক বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপকর কমিশনার মো. আল আমিন, তামাবিল স্থল শুল্ক বন্দরের উপপরিচালক মাহফুজ আলম ভূঁইয়া। ইমিগ্রেশন ও শুল্ক বিভাগের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় ট্যাংকারগুলো তামাবিল স্থলবন্দর ত্যাগ করে।

সুত্রে আরো জানা যায়, চলতি বছর ভারী বর্ষণের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সড়কের অবকাঠামো গত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য জরুরি বিকল্প পথের প্রয়োজন হয়। পরে গত ৩ আগস্ট এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০টি পেট্রোলিয়ামবাহী গাড়ি একত্রে একটি কনভয় হিসেবে বাংলাদেশের সিলেট তামাবিল-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর পথ দিয়ে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে রওয়ানা হয়।

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার তামাবিল দিয়ে প্রবেশ করে আবার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে গেছে। ঊর্ধ্বতন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনিসহ স্থলবন্দরের কর্মকর্তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে শুল্ক বিভাগীয় কাজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি আরো জানান,ভারত- বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় ভারতের মনু স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে যায় ট্যাংকারগুলো।

পরীক্ষামূলক ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পাবে, তেমনি আমাদের রাজস্বখাত সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।

ইন্ডিয়ান অয়েল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মাজহার আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের চুক্তির অংশ হিসেবে এটি প্রথম চালান। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার এভাবে এ পথে ট্রানজিট ব্যবহার করে আসবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *