আচ্ছা, কাতারের আয়তন কত? দেশটা বাংলাদেশের চেয়ে বড় নাকি ছোট? হয়তো অনেকেই জানেন না, কাতার সিলেট বিভাগের চেয়েও ছোট্ট (মাত্র ১১ হাজার ৫৭১ বর্গ কিলোমিটার) একটা দেশ! জনসংখ্যা মাত্র ৩০ লাখ।
সর্বোপরি তারা নিজেরা সেভাবে ফুটবল চর্চা বা ধারণ করে না। ফলে এককভাবে বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো এক মহাযজ্ঞ আয়োজনের গুরুদায়িত্ব তাদের দেয়া ঠিক হবে কিনা, তা নিয়ে ব্যাপক মতপার্থক্য ছিল।
প্রিয় পাঠক, এ পর্যায়ে এসে আপনার কী মনে হচ্ছে—তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের প্রতি তারা কি জাস্টিস করতে পারছে? এ ব্যাপারে আমাদের মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে ফিফা সভাপতি এরই মধ্যে মন্তব্য করেছেন, এটা ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ!
নিঃসন্দেহে বিশাল এ আয়োজনের কেন্দ্রে রয়েছে ফুটবল টুর্নামেন্ট, কিন্তু তার বাইরেও নানা বিষয় বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। বিশেষত পর্যটন ও মার্কেটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। মূলত সেগুলো শেয়ার করাই আজকের নিবন্ধের উদ্দেশ্য।
প্রথমত, আয়োজক দেশ হিসেবে কাতার তাদের যে দর কষাকষির সুযোগ এসেছিল নিঃসন্দেহে তার সর্বোত্তম ব্যবহারে সচেষ্ট ছিল। ফিফা স্বভাবতই টুর্নামেন্টের প্রতি বিশ্ববাসীর মনোযোগ ধরে রাখতে চায়। তাই বহু বিষয়ে তাদের মতামত আয়োজকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইবে সেটাই স্বাভবিক।
সেক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য থাকে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের চাওয়া, রুচি ও পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাজানো। এমনকি স্পন্সরদের চাহিদা থাকে বিশ্বখ্যাত সেলিব্রেটিদের সেই মঞ্চে উপস্থাপনের।
এক্ষেত্রে কাতার খুব দক্ষতার সঙ্গে তাদের বার্গেনিং পাওয়ার কাজে লাগিয়েছে। নিজেদের ঐতিহ্যকে নানা আঙ্গিকে উপস্থাপনে তারা সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ ফিফা ও স্পন্সরদের চাওয়া প্রতিফলিত হলেও মূল ফোকাস ছিল নিজেদের সংস্কৃতি উপস্থাপনে।
সেই এক্সপেরিমেন্টে তারা দারুণভাবে সফল হয়েছে। ফলে নিজেরা ছোট বা সীমিত সামর্থ্যের বলে সবকিছু অন্যদের কথায় করতে হবে—কাতার অতি দক্ষতায় সেই ধারা ভাঙতে পেরেছে।
দ্বিতীয়ত, এমন মেগা ইভেন্টে হলিউড তারকাদের ঝলকানি থাকা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তার বাইরে হাতে গোনা যে কয়জন সুযোগ পেত তারাও থাকত বিশ্বব্যাপী মূলধারার গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান শিল্পী।
কাতার বিশ্বকাপে সেই ধারা প্রায় পুরোটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। বরং সেখানে তুলনামূলক কম স্বীকৃত কিন্তু তরুণদের মাঝে প্রভাব বিস্তার করার মতো অনেককে সুযোগ দেয়া হয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের থিম সংসহ মূল ইভেন্টে সোশ্যাল মিডিয়ার উঠতি প্রতিভাদের অনেক বেশি স্পেস দেয়া হয়েছে।
বিশেষত, প্রবীণদের মাঝে ‘বিটিএস’ নিয়ে নানা বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও এ প্ল্যাটফর্মে তাদের সুযোগ দেয়া বিশেষ কিছু ইঙ্গিত করে। আগামী দিনের মিডিয়া নেতৃত্ব কাদের হাতে যাবে এখানে তার নির্দেশনা স্পষ্ট।
এবারের আয়োজনে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের তুলনায় উঠতি ইউটিউবার ও তরুণ শিল্পীদের পারফর্ম করতে দেয়ার মাধ্যমে কাতার যে ট্রাডিশনাল চিন্তাধারার নয়, তার প্রমাণ দিয়েছে।
পাশাপাশি স্টেডিয়াম ডিজাইন, পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজানো, অতিথিদের জন্য মনোমুগ্ধকর নানা আয়োজনে তারা নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
এমন ক্ষেত্রে সাধারণত দর্শক বা অতিথিরা অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়ায় বিরক্ত হন, কিন্তু এখানেই কাতারের সফলতা যে অভ্যাগতরা তাতে শুধু মুগ্ধতাই প্রকাশ করছে!
পর্যটনকে নানা আঙ্গিক থেকে ভাগ করা হয়। তাদের একটি হলো MICE Tourism. অর্থাৎ মিটিং, ইনসেনটিভ, কনফারেন্স ও এক্সিবিশন ভেন্যু হওয়ার মাধ্যমে পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটানো। বিশ্বের বড় শহরগুলোয় বছরব্যাপী এমন আয়োজনের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষকে আকৃষ্ট করে।
এযাবতকালে ‘বার্সেলোনা’ শহরকে এমন ইভেন্ট আয়োজনের মডেল মনে করা হয়। কারণ তারা ১৯৯২ সালে যে অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল তা থেকে সর্বোত্তম সুবিধা আদায় করে নিয়েছে।
পরিকল্পিত উপস্থাপনার মাধ্যমে তারা এ শহরকে বিশ্বব্যাপী এতটাই আকর্ষণীয় করতে সক্ষম হয়েছে পর্যটন মৌসুমে সে শহরে যত মানুষ ঘুমায় তার ৭০ শতাংশ থাকে পর্যটক। এমনকি দুনিয়ার অনেক মানুষ স্পেনের রাজধানীর নাম না জানলেও বার্সেলোনা সম্পর্কে জানে!
কাতার বিশ্বকাপ পর্যটনের দৃষ্টিকোণ থেকে তেমন সুবিধা তুলে নিতে ব্যাপকভাবে সচেষ্ট রয়েছে। গত চারটা বছর তারা এ ব্যাপারে কঠোর পরিশ্রম করেছে। ছোট্ট একটা দেশের সীমিত ভেগৌলিক সীমারেখার মধ্যে যত বেশি আঙ্গিক থেকে সুবিধা তুলে নেয়া যায়, তার পুরোটাই কাতার কাজে লাগাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী তারা এখন যে মিডিয়া কাভারেজ পাচ্ছে তার সুফল বহু বছর পাবে। আগামী কয়েক বছর বিপুলসংখ্যক ধনী পর্যটকের প্রত্যাশিত গন্তব্য হবে কাতার!
এক্ষেত্রে পৃথিবীর আরেকটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যের দৃষ্টান্ত স্মর্তব্য। সেটা হলো সিঙ্গাপুর। ছোট্ট একটা দেশ। নিজেদের তেমন কিছুই ছিল না। অথচ এখন গোটা দুনিয়ার পর্যটক জীবনে অন্তত একবার সেখানে ঘুরতে যেতে চায়! আরো মজার বিষয় হলো গোটা দেশটাই একটা গন্তব্য।
অর্থাৎ সেখানে ঘুরে এসেছে এমন মানুষও হয়তো সিঙ্গাপুরের কোনো শহর বা জেলার নাম জানে না! পুরো ব্র্যান্ডিং হয়েছে ‘সিঙ্গাপুর’ শব্দটাকে ঘিরে। ঠিক তেমনিভাবে কাতারও একক ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগ দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থানকে দর্শকের মনে গেঁথে দিতে চায় না। তাই পুরো প্রক্রিয়ায় তারা ‘কাতার’কে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করছে।
আয়তনে ছোট, অনভিজ্ঞ, ফুটবলপ্রেমী দর্শকের অভাব, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সন্ত্রাসী হামলার ভয় এমন অনেক বিষয়কে সামনে এনে একটা বড় গোষ্ঠী কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের বিপক্ষে ছিল। এমনকি তারা এ আয়োজনকে ‘বয়কট’ করার আহ্বানও জানিয়েছিল। তাতে আগুনে ঘি ঢালার মতো যুক্ত হয়েছিল উন্মুক্ত স্থানে মদ্যপান নিষিদ্ধ ও সমকামীদের প্রশ্রয় না দেয়ার সিদ্ধান্তে।
শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোর পর্যটকরা নানা শংকায় ছিল একেবারে ভিন্ন এক সংস্কৃতিতে গিয়ে তারা নানা রকম হয়রানির শিকার হয় কিনা। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ইউরোপ-আমেরিকার পর্যটকের নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা দেয়া হতো।
পর্যটককে রাতে তো বটেই, এমনকি দিনের বেলায়ও একা চলাচলে নিষেধ করা হতো। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তার পরও বিপুলসংখ্যক পর্যটক ছিনতাই ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
কাতারের ক্ষেত্রেও অনেকেই ভয় পাচ্ছিলেন, তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হয় কিনা। ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে দেশটি বাধ্য করে কিনা। কাতার এ পরীক্ষায়ও সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে বলা যায়। বিশেষত একা ঘুরতে আসা নারী পর্যটকরা বলছে, তারা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হয়নি। পুরো কাতারকে তারা অত্যন্ত ‘নিরাপদ স্থান’ বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।
মজার বিষয় হলো—যে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে অনেক বেশি জল ঘোলা হয়েছিল এখন দর্শনার্থীদের কাছে সেটাই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হচ্ছে। রাস্তাঘাটে মদ্যপ আচরণ নেই, নারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের চেষ্টা অনুপস্থিত, কেউ অশ্লীল ইঙ্গিত করছে না, আপত্তিকর মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে না… ইত্যাদি বিষয় কাতার বিশ্বকাপকে করেছে অনন্য।
আইনের কঠোর প্রয়োগও দুষ্টু লোকদের সতর্ক আচরণে উৎসাহিত করছে। নারী পর্যটকরা এ ব্যাপারগুলোর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে। ফলে বড় আয়োজনের মাধ্যমে নেশন ব্র্যান্ডিংয়ের যে সুযোগ কাতার পেয়েছিল নিঃসন্দেহে তার পুরোপুরি সদ্ব্যবহারে তারা সচেষ্ট রয়েছে।
এবার আসি আমাদের প্রসঙ্গে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রায় পুরো দেশ ফুটবলজ্বরে আক্রান্ত। ক্রিকেটে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেললেও বোধহয় এমন উন্মাদনা দেখা যাবে না। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মতোই এক্ষেত্রেও পুরো জাতি মোটামুটি দুই ভাগে বিভক্ত। সেটা নিয়ে রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চলছে নানা রকম তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, এমনকি সংঘর্ষ!
আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে ফুটবল খেলা বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল এমন অতি আবেগ। কারণ আমাদের ছোটবেলা দেখতাম প্রায় প্রতিটি এলাকায় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হতো। সেখানে দূর-দূরান্তের প্লেয়ারদের হায়ার করে আনা হতো। মাঠের চারপাশে তিলধারণের ঠাঁই মিলত না।
কিন্তু খেলার কোনো একপর্যায়ে রেফারির একটা সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শুরু হতো মারামারি। তার রেষ চলত অনেক দিন। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তেমন ইভেন্ট আয়োজনের অনুমতি দেয়া বন্ধ করে।
এটা শুধু স্থানীয় পর্যায়ে নয় বরং আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে মারামারি ঠেকাতে একবার দর্শকশূন্য আর্মি স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। দর্শকদের অনুরোধ করা হয়েছিল বাসায় বসে টেলিভিশনে খেলা দেখতে!
গত দুই দশকে ক্রিকেটের বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমাদের যে গতিতে উন্নতি হয়েছে তার চেয়ে বহুগুণে হয়েছে ফুটবলের অধঃপতন। র্যাংকিংয়ে আমাদের অবস্থান তলানিতে বললেও কম বলা হয়। কী বিস্ময়কর ব্যাপার, তাই না? যে জাতি একটা খেলার জন্য এতটা পাগল, এত আবেগ। অথচ তাদের খেলার মান ও অবস্থান নিয়ে কেউ ভাবিত নয়!
আমাদের বুঝি জন্মই হয়েছে অন্যদের সমর্থন করার জন্য। নিজেদের সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে। কিন্তু উন্নতির চেষ্টা কি সন্তোষজনক? আমাদের নীতি-নির্ধারকরা গণমাধ্যমে বিশ্বকাপ বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন। কিন্তু তাদের মনে কি সামান্যও প্রশ্ন জাগে না আমাদের ফুটবলের উন্নতির খবর কী?
এমন দর্শক উন্মাদনার মূল্য শত বা হাজার কোটি নয়, তারও বেশি। কাতার সামগ্রিক আয়োজনের মাধ্যমে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। অথচ আমরা তার গুরুত্ব অনুধাবনে পুরোপুরি অক্ষম। হয়তো সে কারণেই নিজেদের ফুটবলের মানোন্নয়নে এতটা উদাসীন। দেশের কোটি জনতার এমন চিত্কারেও যদি সংশ্লিষ্টদের ঘুম না ভাঙে তবে আর কিসে হবে?
পরিশেষে ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আপনি একটি দলকে সমর্থন করেন, তারা গোল করলে বা জিতলে উচ্ছ্বসিত হবেন সেটা খুবই সংগত। কিন্তু আনন্দ প্রকাশ যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে পড়েছিলাম—আপনার দুই হাত প্রসারিত করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেই হাত যেন কারো নাকে না লাগে সেটা খেয়াল রাখা আপনার কর্তব্য।
শহরে ভবনগুলো খুব কাছাকাছি। আপনার পাশের ফ্ল্যাটে বা ভবনে শিশু, বৃদ্ধ এমনকি অসুস্থ মানুষ থাকতে পারে। তাদের অনেকেই রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারলে পরের দিন শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অনেকে ওষুধ খেয়ে ঘুমান। কোনো কারণে একবার ঘুম ভেঙে গেলে সারা রাত আর ঘুমাতে পারেন না।
গভীর রাতে আপনি যখন উচ্ছ্বসিত হয়ে চিত্কার করেন, বাঁশি, ঢোল এমনকি থালা-বাসন বাজান তখন সেই মানুষগুলোর কষ্ট হয়। অনেকে সারা রাত কষ্টে ছটফট করেন। তাই গভীর রাতে আনন্দ প্রকাশে আমাদের সংযমী হওয়া দরকার।
আর অনেকেই বাস, রেস্টুরেন্ট, হাটবাজারে পছন্দের দলের পক্ষে তর্ক করতে গিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেন। অথচ তারা কী জানেন মেসি ও নেইমার ভালো বন্ধু! তারা নিজেরা একত্র হলে আড্ডা দিয়ে ও মজা করে দারুণ সময় কাটায়।
তাহলে আপনি কি নেইমারের চেয়ে বড় ব্রাজিল কিংবা মেসির চেয়ে বড় আর্জেন্টিনাপ্রেমিক হয়ে গেলেন? সেটা কিন্তু মোটেই ভালো লক্ষণ নয়!
ড. মো. আব্দুল হামিদ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও ‘মার্কেটিংয়ের সহজপাঠ’ বইয়ের লেখক। উৎস: বণিকবার্তা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২।
শেয়ার করুন