গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত মাত্রা ২০ ট্রাক ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। বিপুল সংখ্যাক মানুষের জন্য এই ত্রাণকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার গাজায় ঢুকেছে ত্রাণবাহী ওই ২০টি ট্রাক। খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াও এসব ট্রাকের একটিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনও।
গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের আরোপ করা অবরোধের মধ্যে শনিবার প্রথম সাহায্য পৌঁছেছে।
এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় ৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ইসরায়েল গাজায় বিদ্যুতের পাশাপাশি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘ সেখানকার পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর আখ্যা দিয়েছে।
এমন অবস্থায় যে ত্রাণসহায়তা ঢুকেছে গাজায় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। গাজা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে মিশরে বৈঠক করছেন আরব ও ইউরোপীয় নেতারা। কিন্তু বৈঠক থেকে কোনো সমাধানের আশা ক্ষীণ। কারণ, বৈঠকে ইরানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দেশ অংশ নিচ্ছে না। উপস্থিত নেই ইসরায়েলও।
বিবিসি জানায়, গাজা এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়ে মিশরের এই বৈঠকে সমবেত হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শেয়ার করুন