উগ্রতা ও নম্রতা : ইসলামী দৃষ্টিকোণ

মুক্তমত

উগ্রতা ও নম্রতা : ইসলামী দৃষ্টিকোণ

মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। শান্তি, স্বস্তি ও মানবতার কল্যাণ সুনিশ্চিত করার অনন্য আদর্শ। উগ্রতা, মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাস, রাহাজানি কিংবা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ সমর্থন করে না। অহমিকা, ক্রোধ, হিংসা, কলহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেয়। ইসলামের সাথে উগ্রবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম সীমালঙ্ঘনকারীদের কখনোই সমর্থন করে না।

উগ্র মানে প্রচন্ড; তীব্র; ভয়ানক রাগী; নিষ্ঠুর। আর উগ্রতা মানে Violence ; fierceness ; wrathfulness ; pungency ; heat. ইসলাম এরকম নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করতে বলে। হিংস্রতা, জুলুম, জবরদস্তি, উদ্দামতা, প্রচণ্ডতা, জোর, অনিষ্ট, উৎপীড়ন, আক্রমণ কিংবা বল প্রয়োগের নীতি বর্জনের তাগিদ দিয়ে থাকে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জানিয়ে দিয়েছেন যে,

لَاۤ اِکۡرَاهَ فِی الدِّیۡنِ ۟ۙ قَدۡ تَّبَیَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَیِّ ۚ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَ یُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰهِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی ٭ لَا انۡفِصَامَ لَهَا ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۵۶﴾

দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। নিশ্চয়ই হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [২. সূরা বাকারাহ: ২৫৬]। কারো প্রশ্ন থাকতে পারে যে, আয়াতের দ্বারা বুঝা যায়, দ্বীন গ্রহণে কোনো বল প্রয়োগ নেই। অথচ দ্বীন ইসলামে জিহাদ ও যুদ্ধের শিক্ষা দেয়া হয়েছে? একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলেই উপলব্ধি হয়ে যাবে যে, এমন প্রশ্ন যথার্থ নয়। কারণ, ইসলামে জিহাদ ও যুদ্ধের শিক্ষা মানুষকে ঈমান আনয়নের ব্যাপারে বাধ্য করার জন্য দেয়া হয় নি। যদি তাই হতো, তবে জিযিয়া করের বিনিময়ে কাফেরদেরকে নিজ দায়িত্বে আনার কোন প্রয়োজন ছিলো না। ইসলামে জিহাদ ও যুদ্ধ ফেৎনা-ফাসাদ বন্ধ করার লক্ষ্যে করা হয়। কেননা, ফাসাদ আল্লাহর পছন্দনীয় নয়, অথচ কাফেররা ফাসাদের চিন্তাতেই ব্যস্ত থাকে। তাই আল্লাহ্‌ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন (وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا) “তারা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়, কিন্তু আল্লাহ্‌ তা’য়ালা ফাসাদকারীদের পছন্দ করেন না”। [সূরা আল-মায়িদাহ: ৬৪]। এজন্য আল্লাহ্ তা’য়ালা জিহাদ এবং কেতালের মাধ্যমে এসব লোকের সৃষ্ট যাবতীয় অনাচার দূর করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সে মতে জিহাদের মাধ্যমে অনাচারী যালেমদের হত্যা করা সাপ-বিচ্ছু ও অন্যান্য কষ্টদায়ক জীবজন্তু হত্যা করারই সমতুল্য।

ইসলাম জিহাদের ময়দানে স্ত্রীলোক, শিশু, বৃদ্ধ এবং অচল ব্যক্তিদের হত্যা করতে বিশেষভাবে নিষেধ করেছে। আর এমনিভাবে সে সমস্ত মানুষকেও হত্যা করা থেকে বিরত করেছে, যারা জিযিয়া কর দিয়ে আইন মান্য করতে আরম্ভ করেছে। ইসলামের এ কার্যপদ্ধতিতে বুঝা যায় যে, সে জিহাদ ও যুদ্ধের দ্বারা মানুষকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করে না, বরং এর দ্বারা দুনিয়া থেকে অন্যায় অনাচার দূর করে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আদেশ দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, জিহাদ-যুদ্ধের নির্দেশ (لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ) আয়াতের পরিপন্থী নয়। আবার কোনো কোনো নামধারী মুসলিম ইসলামের হুকুম-আহকাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন। তাদেরকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা “দ্বীন সম্পর্কে জোরজবরদস্তি নেই” এ অংশটুকু বলে। তারা জানে না যে, এ আয়াত দ্বারা যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি শুধু তাদেরকে জোর করে ইসলামে আনা যাবে না বলা হয়েছে। কিন্তু হুকুম-আহকাম মানতে বাধ্য। সেখানে শুধু জোর-যবরদস্তি নয়, উপরন্তু শরীয়াত না মানার শাস্তিও ইসলামে নির্ধারিত। এমনকি তাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে দ্বীনের যাবতীয় আইন মানতে বাধ্য করানো অন্যান্য মুসলিমদের উপর ওয়াজিব। যেমনটি হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) যাকাত প্রাদানে অস্বীকারকারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিলেন।

আল্লাহ তা’য়ালা বান্দাকে উগ্রতা নয়, নম্রতা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বান্দার গুণাবলী কেমন হওয়া উচিৎ, এ ব্যাপারে বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا ﴿۶۳﴾

আর রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’। [২৫. সূরা ফুরকান: ৬৩]।

রহমানের বান্দারা দুনিয়ায় নম্রতা সহকারে চলাফেরা করে। هون শব্দের অর্থ এখানে স্থিরতা, গাম্ভীর্য, বিনয় অর্থাৎ গর্বভরে না চলা, অহংকারীর ন্যায় পা না ফেলা। অহংকারের সাথে বুক ফুলিয়ে চলে না। গর্বিত স্বৈরাচারী ও বিপর্যয়কারীর মতো নিজের চলার মাধ্যমে নিজের শক্তি প্ৰকাশ করার চেষ্টা না করা। বরং তাদের চালচলন হয় একজন ভদ্র, মার্জিত ও সৎস্বভাব সম্পন্ন ব্যক্তির মতো। খুব ধীরে চলা উদ্দেশ্য নয়। কেননা, বিনা প্রয়োজনে ধীরে চলা সুন্নাহ বিরোধী। হাদীস থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) খুব ধীরে চলতেন না; বরং কিছুটা দ্রুত গতিতে চলতেন। হাদীসের ভাষা এরূপ, كَأنَّهَا الأرْضُ تُطْوَى لَهُ অর্থাৎ “চলার সময় পথ যেন তার জন্য সংকুচিত হত।” [ইবনে হিব্বানঃ ৬৩০৯] এ কারণেই পূর্ববর্তী মনীষীগণ ইচ্ছাকৃতভাবেই রোগীদের ন্যায় ধীরে চলাকে অহংকার ও কৃত্রিমতার আলামত হওয়ার কারণে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। হযরত ওমর (রা.) জনৈক যুবককে খুব ধীরে চলতে দেখে জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কি অসুস্থ? সে বললো, না। তিনি তার প্রতি চাবুক উঠালেন এবং শক্তি সহকারে চলার আদেশ দিলেন। [দেখুন- ইবনে কাসীর, কুরতুবী]

হাসান বসরী (রহ.) (يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا) আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ খাঁটি মুমিনদের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চক্ষু, কৰ্ণ, হাত, পা, আল্লাহর সামনে হীন ও অক্ষম হয়ে থাকে। অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে দেখে অপারগ ও পঙ্গু মনে করে, অথচ তারা রুগ্নও নয় এবং পঙ্গুও নয়; বরং সুস্থ ও সবল। তবে তাদের উপর আল্লাহভীতি প্রবল, যা অন্যদের উপর নেই। তাদেরকে পার্থিব কাজকর্ম থেকে আখেরাতের চিন্তা নিবৃত্ত রাখে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে না এবং তার সমস্ত চিন্তা দুনিয়ার কাজেই ব্যাপৃত, সে সর্বদা দুঃখই ভোগ করে। কারণ, সে তো দুনিয়া পুরোপুরি পায় না এবং আখেরাতের কাজেও অংশগ্রহণ করে না। যে ব্যক্তি পানাহারের বস্তুর মধ্যেই আল্লাহর নেয়ামত সীমিত মনে করে এবং উত্তম চরিত্রের প্ৰতি লক্ষ্য করে না, তার জ্ঞান খুবই অল্প এবং তার জন্য শাস্তি তৈরী রয়েছে। [ইবনে কাসীর]।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপর আল্লাহর অনুগ্রহগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো – কোমলতা ও নম্রতা। তা আল্লাহর রহমতেরই ফল। আর দ্বীনের প্রচার-প্রসারের জন্য তো এই কোমলতার প্রয়োজন অনেক। রাসুল যদি কোমল ও নরম না হয়ে কঠিন হৃদয়ের অধিকারী হতেন, তাহলে মানুষ কাছে না এসে আরো দূরে সরে যেতো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এ ব্যাপারে বলেন,

فَبِمَا رَحۡمَۃٍ مِّنَ اللّٰهِ لِنۡتَ لَهُمۡ ۚ وَ لَوۡ کُنۡتَ فَظًّا غَلِیۡظَ الۡقَلۡبِ لَانۡفَضُّوۡا مِنۡ حَوۡلِکَ ۪ فَاعۡفُ عَنۡهُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ وَ شَاوِرۡهُمۡ فِی الۡاَمۡرِ ۚ فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ ﴿۱۵۹﴾

অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে আপনি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলেন। আর যদি আপনি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে পড়তো। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আর কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরার্মশ করুন। অতঃপর যখন সংকল্প করবেন, তখন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালোবাসেন। [৩. আলে ইমরান: ১৫৯]।

হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ وَيُعْطِي عَلَى الرِّفْقِ مَا لَا يُعْطِي عَلَى الْعُنْفِ وَمَا لَا يُعْطِي عَلَى مَا سِوَاهُ

‘আল্লাহ তা’য়ালা নিজে কোমল, তিনি কোমলতাকে ভালোবাসেন। আর তিনি কোমলতার প্রতি যত অনুগ্রহ করেন, কঠোরতা এবং অন্য কোনো আচরণের প্রতি ততো অনুগ্রহ করেন না।’ [মুসলিম: ২৫৯৩, আবু দাউদ: ৪৮০৭, ইবনে মাজাহ: ৩৬৮৮]। মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) হযরত আয়েশা (রা.)-কে বললেন,

عَلَيْكِ بِالرِّفْقِ وَإِيَّاكِ وَالْعُنْفَ وَالْفُحْشَ إِنَّ الرِّفْقَ لَا يَكُونُ فِي شَيْءٍ إِلَّا زَانَهُ وَلَا يُنْزَعُ مِنْ شَيْء إِلَّا شانه

‘কোমলতাকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও এবং কঠোরতা ও নির্লজ্জতা থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা যে জিনিসের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা থাকে সে নম্রতা ও কোমলতাই তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কারণ হয়। আর যে জিনিসে কোমলতা থাকে না তা দোষণীয় হয়ে পড়ে।’ [মিশকাত: ৫০৬৮]।

রুক্ষ ও কর্কশ ভাষা এবং উগ্র আচরণ সর্বদা পরিত্যাজ্য। মুসলমানের অন্যতম গুণ, তারা দা’য়ী ইলাল্লাহ। আল্লাহর পথে আহবানকারীদের গুণাবলী হলো তারা নরম ভাষায় কথা বলেন। আল্লাহর ঘোষণা:
فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی

আপনারা তার সাথে নরম কথা বলবেন, হয়তো সে উপদেশ গ্ৰহণ করবে অথবা ভয় করবে। [২০. ত্বাহা: ৪৪]। অর্থাৎ আপনাদের দাওয়াত হবে নরম ভাষায়, যাতে তা তাঁর অন্তরে প্রতিক্রিয়া করে। এবং দাওয়াত সফল হয়। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡهُمۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ

“আপনি মানুষকে দাওয়াত দিন আপনার রবের পথে হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে তর্ক করবেন উত্তম পন্থায়” [সূরা আন-নাহল: ১২৫] এ আয়াতে দাওয়াত প্ৰদানকারীদের জন্য বিরাট শিক্ষা রয়েছে। সেটা হচ্ছে, ফিরআউন হচ্ছে সবচেয়ে বড় দাম্ভিক ও অহংকারী, আর মূসা হচ্ছেন আল্লাহর পছন্দনীয় লোকদের অন্যতম। তারপরও ফিরআউনকে নরম ভাষায় সম্বোধন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [ইবন কাসীর]।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের জন্য উসওয়ায়ে হাসানাহ। যার জীবনে উগ্রতার কোনো স্থান ছিলো না। তিনি বিনয় ও নম্রতার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। সাহাবায়ে কেরাম সেই আদর্শকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে উচ্চ মর্যাদা অর্জন করেছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টির ঘোষণা পেয়েছেন। আসুন আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। নিজেদেরকে কথা ও কাজে প্রকৃত মুসলমান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হওয়ার জন্য আরও সচেষ্ট হই। আজীবন সাধনা করে যাই।

[লেখক: সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন।]

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *