স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিশ্বনাথে গত ২৮ এপ্রিল বিকেল তিনটার দিকে পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় একই সময়ে প্রায় একশ গজের মধ্যে ‘পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের পক্ষে ও নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমের পক্ষে’ পৌর আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা শুরুর পূর্বে রাসনা বেগমের পক্ষের লোকজন কর্তৃক মেয়রের পক্ষের লোকজনের উপহার হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১ মে) পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের ড্রাইভার হেলাল মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১ (তাং ১.০৫.২৪ইং)।
বিশ্বনাথ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর রফিক হাসানকে প্রধান অভিযুক্ত করে দায়ের করার মামলায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা জহুর আলী এবং ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম নূর ওরফে শামীম আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল’সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আরোও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত রাখা হয়েছে।
পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের ড্রাইভার হেলাল মিয়া বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য জুনাব আলী, রাজু আহমদ খান, আজিজুর রহমান বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা শানুর আলী, আব্দুস সালাম, শ্রমিক লীগ নেতা এলাইছ মিয়া, যুবলীগ নেতা আব্দুল হক, ফয়জুল ইসলাম জয়, রফিক মিয়া, রাজন আহমদ অপু, আল হেলাল, পৌর স্বেচ্চাসেবক লীগের সহ সভাপতি ফয়সল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ, যুবলীগ নেতা শফিক মিয়া, রাসেল আহমদ, বকুল মিয়া, কদ্দুছ আলী, জয়নাল, লাল মিয়া, আব্দুল গফ্ফার, রাব্বি, ওলিউর রহমান, জাহিদ ও কাদির মিয়া।
মামলার এজাহার বাদী উল্লেখ করেছেন, মামলার অভিযুক্তরা ‘ডেগার, কিরিছ, রামদা, লোহার পাইপ, শাবল’সহ নানান ধরনের অস্ত্র-সস্ত্রে গত রোববার (২৮এপ্রিল) মেয়র মুহিবুর রহমানের উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় হামলা-ভাংচুর করেছেন। মেয়রকে হত্যা ও প্রতিবাদ সভা ভুন্ডল করার উদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের ব্যক্তিগত অফিসে অনাধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর করেছেন অভিযুক্তরা।
শেয়ার করুন