মৌলভীবাজার-২ঃ নেতাকর্মীদের বিভক্তিতে নৌকার দিকে চোখ রাঙাচ্ছে ট্রাক

মৌলভীবাজার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার-২ আসনে বিরামহীন ভাবে প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যে দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় নৌকার মনোনীত প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বিজয়ের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ সলমান।

ইতোমধ্যে মাঠ দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। দুই প্রার্থীর নেতা-কর্মীরা একে অন্যের সম্পর্কে বিষোদগার করছেন তাতে হাতাহাতি লড়াইয়ের আভাস রয়েছে, তেমনি সংঘাত সংঘর্ষের বাতাস রয়েছে।এই আসনে প্রার্থী  হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা বনাম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের সঙ্গেই। বাকি প্রার্থীরা নিয়ম রক্ষায় শরিক হয়েছে নির্বাচনে।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে সব নতুন প্রার্থীরা এসেছেন টাকা খরচ করছেন এই টাকা গুলো গরীবদের দিলে ভালো হতো অন্তত টাকা কথা বলতো।

তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় কোন্দলের কারণে প্রায় ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারছে না উপজেলা আওয়ামী লীগ। স্থানীয় নির্বাচনেও দুই গ্রুপের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বহুবার। প্রায়২.৫ লক্ষ ভোটার কুলাউড়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৩ ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিরাও দু’পক্ষে বিভক্ত থাকেন হউক সে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

ভূকশিমইল ইউনিয়নের নৌকার সমর্থক রুবেল আহমদ জানান, নাদেলের কুলাউড়ায় জনপ্রিয়তা ব্যাপক। উন্নয়নের কিছু গাড়তি থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সেই সুযোগটা নিচ্ছে।

কুলাউড়ার ভূকশিমইল ইউনিয়নের বাসিন্দা,সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই আল হাদী জানান, নৌকার থেকে ট্রাক মার্কার অবস্থান সবদিকে ভালো। কুলাউড়ার দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করেন নাই। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়।

তিনি আরো বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায় এবার মানুষ স্বচ্চ ভোটের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার স্বতস্ত্র প্রার্থীদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন এখনও নিরপেক্ষ আছে।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের  প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, কুলাউড়ার মানুষ সর্বদা সত্যর পক্ষে নৌকার বিজয় এবারও হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী কুলাউড়ার মানুষের ভালোবাসা দেখে এবারও আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। কুলাউড়াবাসী নৌকার অবমূল্যায়ন করবে না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *