৭ বছর পর আজ রাতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল

খেলাধুলা

সাত বছর পর ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় ব্রাজিল। শেষবার থ্রি লায়ন্সের বিপক্ষে যে মাঠে গোলশূণ্য ড্র করেছিলো সেলেসাও। সেই ওয়েম্বলিতে আবারও নামার অপেক্ষায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইউরোপ ও ল্যাতিন অঞ্চলের দুই জায়ান্ট।

কোপা আমেরিকার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ম্যাচটি ব্রাজিলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেলেসাওরা সম্ভবত নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময় পার করছে। মাঠের ব্যর্থতার পাশাপাশি ব্রাজিলের ফুটবলকে এ মুহূর্তে অশনী বার্তা দিচ্ছে বাইরের বিশৃঙ্খলা। যার সূত্রপাত কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে।

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে বাদ পড়ার পর ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়ান কোচ তিতে। তারপর কোচ নিয়োগ নিয়ে মঞ্চস্থ হয় এক মহানাটক। একের পর এক বিদেশি কোচ নিয়ে আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত সাও পাওলোর কোচ দরিভালকেই নিয়োগ দেয় ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। যিনি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল দলের হয়ে নতুন যাত্রা শুরু করবেন।

ইনজুরি: দুই দলই ইনজুরি জর্জরিত। যে কারণে বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। ব্রাজিল যেমন নেইমারকে তো পাচ্ছেই না। নেই লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন ও ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন। আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল ত্রয়ী জেসুস, মার্টিনেল্লি ও মাঘালহায়েস ইনজুরিতে। খেলতে পারবেন না মার্কুইনোস, কাসেমিরোরা।

ইংল্যান্ডকে আবার স্ট্রাইকার হ্যারি কেন ও মিডফিল্ডার জর্ডান হ্যান্ডারসনকে ছাড়া খেলতে হবে। আর্সেনাল উইঙ্গার বুকোয়াকা সাকা খেলতে পারবেন না। দুই ফুল ব্যাক লুক শ’ ও কিয়েরন ট্রিপিয়ার ইনজুরিতে। অনিশ্চিত চেলসির কোলে পালমারও। তারপরও উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো দল আছে দুই কোচের হাতে।

আলো থাকবে যাদের ওপর: ব্রাজিল কোচ ডরিভাল জুনিয়রের যেমন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো গোয়েস আছেন। মিডফিল্ডে ডগলাস লুইস, লুকাস পাকুয়েতা ও ব্রুনো গিমারেজ ছন্দে আছেন। রক্ষণে পিএসজির বেরাল্ডো আলো কেড়েছেন। তেমনি গোলরক্ষক বেন্তোও নতুন দিনের অ্যালিসন-এদেরসন হওয়ার আশা দিচ্ছেন। ইউরোপের ক্লাবগুলো নজর রাখছে তার ওপর।

ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের তেমনি হ্যারি কেনের জায়গা পূরণ করতে আছেন ওলি ওয়াটকিসন। যিনি প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। জুড বেলিংহাম-ফিল ফোডেনরা উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো ফুটবলার। মিডফিল্ডে ম্যাডিসন-কনর গ্লাঘার আছেন। তরুণ কোবি মাইনো আলো কাড়তে প্রস্তুত। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের সামনে কাইল ওয়াকার, জোন স্টোনসরাও প্রমাণিত। সব মিলিয়ে আগুনে এক লড়াইয়ের আশা ভক্তরা করতেই পারে।

ব্রাজিলের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: বেন্তো ম্যাথিউস (অ্যাথলেটিকো পারানায়েনসে), দানিলো (জুভেন্টাস), গ্লেসন ব্রেমার (জুভেন্টাস), লুকাস বেরাল্ডো (পিএসজি), ওয়েনডেল (পোর্ত), ব্রুনো গিমারেজ (নিউক্যাসল), ডগলাস লুইস (অ্যাস্টন ভিলা), লুকাস পাকুয়েতা (ওয়েস্ট হাম), রদ্রিগো গোয়েস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম)।

ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: জর্ডান পিকফোর্ড (এভারটন), কাইল ওয়াকার (ম্যানসিটি), জোন স্টোনস (ম্যানসিটি), হ্যারি মাগুইরা (ম্যানইউ), বেন চিলওয়েল (চেলসি), ডেক্লান রাইচ (আর্সেনাল), কনর গ্লাঘার (চেলসি), জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ), ফিল ফোডেন (ম্যানসিটি), মার্কোস রাশফোর্ড (ম্যানইউ), ওলি ওয়াটকিনস (অ্যাস্টন ভিলা)।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *